ওযু কত প্রকার ও কি কি সংজ্ঞাসহ উদাহরণ
ওযু কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত
আরবি ওযু শব্দের আভাধানিক অর্থ হল পরিচ্ছন্নতা ও জ্যোতি। ইসলামী পরিভাশায় এর অর্থ হল এক বিশেষ নিয়মে মাথা মাসেহ করাসহ মুখমন্ডল ও হাত-পা ধৌত করা, যাতে কিয়ামতের দিন জ্যোতি নসীব হয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক মানুষের পক্ষে প্রতিদিন কয়েকবার শরীরের অগ্রভাগ অর্থাৎ হাত, পা, কান ও মাথার চুলের অগ্রভাগ পানি দ্বারা ধুয়ে বা মুছে ফেলা এবং উত্তমরূপে নাক সাফ করা অবশ্যকরণীয়। কিছু একজন মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে প্রতিবার ওযু করলে তার এই স্বাস্থ্য বিধান সহজেই পালিত হয়ে যায় এবং সে প্রতিদিন এভাবে করতে বাধ্য। কেননা মহান করুণার আধার আল্লাহ্ জাল্লাহ শানুহু মহা পবিত্র কুরানে ইরশাদ করেন-
বাংলা উচ্চারণঃ ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ ইযা কুমতুম ইলাছ ছালাতি ফাগছিলূ উজিহাকুম ওয়া আইদিয়াকুম ইলাল মারাফিকি ওয়ামছাহু বিরুউ-ছিকুম ওয়া আরজুলাকুম ইলাল কা'বাইন।
অর্থঃ হে মু'মিনগণ! যখন তোমরা নামাযে দাঁড়াবার ইচ্ছ পোষণ করবে তখন নিজেদের মুখমন্ডল ও উভয় হস্ত কনুই পর্যন্ত ধৌত করে নেবে এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করবে। গোড়ালী সমেত পদযুগল ধৌত করে নেবে। ওযুর মধ্যে কয়েকটি সুন্নাত ও কয়েকটি মুস্তাহাব আছে। নিম্নে সেগুলোর বিবরণ দেয়া হল-
ওযু কত প্রকার ও কি কি সংজ্ঞাসহ
ওযু সাধারণত তিন প্রকার। যথাঃ
১. ফরজ ওযু২. ওয়াজিব ওযু৩. মুস্তাহাব ওযু
ফরজ ওযু কাকে বলে?
নামাজের জন্য এবং জানাজা ও সিজদা তেলাওয়াতের জন্য ওযু করাকে ফরজ ওযু বলে।
ওয়াজিব ওযু কাকে বলে?
- বাইতুল্লাহ শরীফের তাওয়াফের জন্য ওযু করাকে ওয়াজিব ওযু বলে।
- মুস্তাহাব ওযু কাকে বলে?
- নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে।
- নাপাক অবস্থায় পানাহারের ইচ্ছা করলে।
- মৃতকে গোসল দেওয়ার জন্য।
- এক ওয়াক্তের নামাজ পড়ার পর দ্বিতীয় ওয়াক্তের নামাজ পড়ার জন্য (ওযু থাকলেও) ওযু করা।
- নিদ্রা হতে জাগ্রত হওয়ার পর।
- মিথ্যা কথা বলার পর।
- কারো গীবত করার পর।
- ফরজ গোসল সমাধা করার পর।
- নাপাক অবস্থায় ঘুমাবার ইচ্ছা পোষণ করলে।
- নাপাক অবস্থায় পুনরায় স্ত্রীর সাথে সহবাসের ইচ্ছা করলে।
- অশ্লীল কবিতা আবৃতি করার পর।
- হাসি-তামাশা করার পর।
এই সব কারণগুলো জন্য ওযু করারকে মুস্তাহাব ওযু বলে।
আজ এই পর্যন্ত। এমন ইসলামিক সব পোষ্ট পেতে ফলো করে রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটি।
ধন্যবাদ।
ইসলামিক কথা সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url